দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর সিকিউরিটি ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্পের আওতায় দেশের সব বিমানবন্দরে নিরাপদে উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। উন্নয়ন করা হবে বিমানবন্দরের কমিউনিকেশন ও নেভিগেশন সার্ভিল্যান্স (সিএনএস) ব্যবস্থারও।
Advertisement
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত দশ বছরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বেড়েছে ৬ থেকে ৭ গুণ। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়ানো হয়নি সেবার আনুপাতিক ধারাবাহিকতা ও মান। বোর্ডিং ব্রিজ, কনভেয়ার বেল্ট সবই রয়ে গেছে আগের মতো। ফলে যাত্রী ভোগান্তির হার বাড়ছে। বিমানবন্দরে নিরাপদে উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে যৎসামান্য।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে নেয়া হয়েছে কিছু পরিকল্পনা। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও সিভিল এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টারে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো- নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে এয়ার ট্রাফিক সেবার কার্যকারিতা বৃদ্ধিসহ দেশে নিরাপদ উড়োজাহাজ পরিবহন পরিচালনা, সিভিল এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টারে (সিএটিসি) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের (এটিসি) জন্য প্রশিক্ষণ, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা রোধে শাহজালাল বিমানবন্দরের উদ্ধারকাজ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখবে।
তিনি বলেন, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উড়োজাহাজ চলাচলের লক্ষে আমরা চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছি।
আরএম/এমবিআর/এমকেএইচ
Advertisement