কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও বিজিবি। এ সময় কাগজপত্রবিহীন বেশ কিছু ফার্নিচার জব্দ করা হয়েছে।
Advertisement
কক্সবাজার সদরের লিংকরোড, মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুর খাল ব্রিজ ও মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট এলাকায় পৃথক এসব অভিযান চালানো হয়। র্যাব-১৫ ও কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কক্সবাজারের রামুর পূর্ব জোয়ারিয়ানালার মো. শহিদুল্লাহর ছেলে মো. ফখরুদ্দিন (৩০) ও টেকনাফের বড় ডেইলের আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. নুর হোসাইন (২৩)।
র্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, একজন ব্যবসায়ী সিএনজিযোগে ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার শহরের দিকে আসছে- এমন সংবাদে বাঁকখালী ব্রিজের পশ্চিম পাশে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে র্যাব। র্যাবের তল্লাশিকালে রামু থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি চেকপোস্টের কাছে আসলে থামানোর সংকেত দেয়া হয়। তখন পালিয়ে যাওয়ার সময় ফখরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেহ তল্লাশি করে ২ হাজার ২৩০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন-৩৪ বিজিবির মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টের সদস্যরা চেকপোস্ট নামক স্থানে যানবাহন তল্লাশিকালে ঈদগাঁও থেকে টেকনাফগামী মালবাহী কাভার্ডভ্যান ফেলে ড্রাইভার পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে ১২টি বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রকার ফার্নিচার জব্দ করে। এ সময় কাভার্ডভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪-বিজিবির রেজুখাল যৌথ চেকপোস্টের সদস্যরা চেকপোস্টটি পায়ে হেটে পার হওয়ার সময় সন্দেহ হলে তল্লাশি করে নুর হোসাইনকে আটক করে। তার কাছ থেকে ১ হাজার ৮৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর
Advertisement