জাতীয়

ইফতারে আভিজাত্য বেইলি রোডে

সংস্কৃতি আর নাটকপাড়া খ্যাত রাজধানীর বেইলি রোডের ইফতারিতে রুচি আর আভিজাত্যের ছোঁয়া অনেক আগে থেকেই। দুপুর গড়ানোর পর থেকেই অভিজাত সব দোকানে হরেক রকম বাহারি সব পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। অন্যান্যবার সড়কের দুই পাশ ও ফুটপাত দখল করে ইফতারির দোকান বসলেও এবারের দৃশ্যটা কিছুটা ভিন্ন। রেস্তোরাঁগুলো এবার আর রাস্তায় বসেনি। দোকানের ভিতরে সাজানো হয়েছে ইফতারির পসরা। ফলে ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছেন পথচারীরা।

Advertisement

ইফতার বাজারে আভিজাত্যের ছোঁয়ায় এখানে রয়েছে বাড়তি আকর্ষণ। রমজান মাসজুড়ে বেইলি রোড পরিণত হয় ইফতার বাজারে। রাজধানীর চকবাজের মতো দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বেইলি রোডেও ইফতার সামগ্রী কিনতে আসেন। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য এবং নতুন ঢাকার আভিজাত্যের সমন্বয়ে ইফতার সামগ্রীর বিশাল পসরা নিয়ে বসেছেন এখানে দোকানিরা।

ইফতারের অন্যান্য সব কিছুর সঙ্গে এখানে পাওয়া যাচ্ছে- জালি কাবাব, স্প্রিং রোল, চিকেন কাটলেট, গ্রিল, রেশমি কাবাব, বিফ শিক, মাটন শিক, দেশি রোস্ট, পিস রোস্ট, খাসির লেগ রোস্ট, ঝালফ্রাই, গরুর চপ, গরুর কিমা, গরুর কলিজি, মগজ, খাসির চপ, হালিম, কিমা পরোটা, চিকেন শর্মা, পাটিসাপটা, কোপ্তা, জুসসহ আর কত কী!

এখানে নবাবী ভোজ ও ঐতিহ্যবাহী ক্যাপিটাল ইফতার বাজারসহ অন্যান্য দোকানে স্পেশাল হালিম পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। চিকেন আস্ত রোস্ট ৫০০ টাকা, মার্টন ভুনা ১২৫০ টাকা, মার্টন লেগ রোস্ট প্রতি পিস ৫০০ টাকা, চিকেন রেশমি কাবাব ২৪০ টাকা, এখানে প্রতিকেজি গরুর কিমা ৫৫০ টাকা, গরুর মগজ ৭০০ টাকা, চিকেন ঝাল ফ্রাই ৫৫০ টাকা, জাম্প রোস্ট ৪০০ টাকা, খাশির রোস্ট ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি পিস ২০০ টাকা, গরুর সুতি কাবাব প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, চিকেন ললি ৫০ টাকা, বিফমিনি কাবাব ৪০ টাকা, চিকেন সিংগার স্টিক ৩০ টাকা, প্রন বল ৫০ টাকা, এগচপ ১৫ টাকা, আলু চপ প্রতিপিস ১০ টাকা, বেগুনি ও পিঁয়াজু ১০ টাকা। এছাড়া ইফতারির বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকমের ইফতারের প্যাকেজ।

Advertisement

নবাবী ভোজের ব্যবস্থাপক দীপু আহমেদ বলেন, বেইলি রোডের ইফতার বাজার অধুনিকতার ছোয়ার পাশাপাশি আছে ঐতিহ্যবাহী এবং আভিজাত্যের ছোঁয়া। যে কারণে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ইফতার কিনতে বেইলি রোডে আসে। রমজানের প্রথম দিন থেকেই ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকে। প্রতি রমজানেই বাহারি আইটেম নিয়ে রোজাদারদের সামনে হাজির হয় পুরো বেইলি রোডের এলাকার দোকানিরা। শুধু বাহারি আইটেম নয় এই আইটেমগুলোর গুণগত মান নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

মালিবাগ থেকে বেইলি রোডে ইফতার কিনতে এসেছেন রেবেকা সুলনাতা নামের একজন গৃহিণী। তিনি বলেন, বেইলি রোডের ইফতার বাজার আগে থেকেই নামকরা। নানা ধরনের ইফতার সামগ্রী এখানে পাওয়া যায়। যে কারণে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোজনরসিক মানুষরা এখানে ইফতার কিনতে আসে আগে থেকেই। আমরাও অনেক আগে থেকে নিয়মিত এখানে ইফতার কিনতে আসি। তবে এবার ইফতারের দাম কিছুটা বেশি বলে মনে হচ্ছে।

এএস/এমবিআর/এমকেএইচ

Advertisement