পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের নদী ভাঙন কবলিত স্থানে শুধু নজরদারি বাড়ানো হয়নি, জনবলের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ তিনি নিয়মিত বিভিন্ন হাওর এবং নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
Advertisement
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে তিনি ১২/১৩টি স্থান পরিদর্শন করেছেন। কিছু ভাঙন রয়েছে প্রাকৃতিক, সেগুলোর ব্যাপারে করণীয় তেমন কিছু নেই। তবে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, কমিটির সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, সামশুল হক চৌধুরী, মো. ফরিদুল হক খান, নুরুন্নবী চৌধুরী ও রুশেমা বেগম।
Advertisement
এছাড়া বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উপমন্ত্রী আরও জানান, নড়ীয়ায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ খুলনা শিপইয়ার্ডের সঙ্গে একমাসেই ৪/৫টি বৈঠক করা হয়েছে। নড়ীয়ায় ২০১২ সালে প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৮ ইঞ্চি এবং ২০ ইঞ্চি ড্রেজারের রেট ধরে। সেখানে যদি ড্রেজার ২৬ ইঞ্চি, ৩২ ইঞ্চি বা ৩৬ ইঞ্চি করা হয় তাহলে এ রেটের কাছাকাছিও হয় না। কারণ ২৬ ইঞ্চি, ৩২ ইঞ্চি বা ৩৬ ইঞ্চি ড্রেজারের এখন রেট হচ্ছে ২৫০ টাকা। কিন্তু পাউবোর রেট হচ্ছে ১৫৫ টাকা এবং এটি অনেক আগের রেট। কাজেই ড্রেজিং রেট নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন।
বৈঠকে কক্সবাজার জেলার বাকখালী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্প, যমুনা নদীর ভাঙন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলা রক্ষা ও কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন হতে বরিশাল জেলার সদর উপজেলাধীন চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসব প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জোরালো সুপারিশ করে কমিট।
এইচএস/এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement