রবীন্দ্র চেতনার আলোকে ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে এবং মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
Advertisement
তিনি বলেন, বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও বাঙালি জাতিকে তিনি দিয়েছেন শুভ-সুন্দর ও কল্যাণের শাশ্বত বার্তা। রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ মানেই মহৎ মানবিক মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, যা ধর্ম-বর্ণ ও গোত্রের সংকীর্ণ সীমা ভেদ করে রূপসাগরে গান গায় অরূপরতনের।
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অরূপরতন তো প্রকৃতপক্ষে তার জীবন দর্শনেরই নাম, যে দর্শনের মূলে রয়েছে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার শিল্পিত রূপায়ণ। বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় তো বটেই, বাঙালি সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রকে প্রায় একক চেষ্টায় তিনি দান করেছেন নতুনতর মাত্রা।
Advertisement
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বিশ্বসাহিত্যের বৃহৎ পরিসরে বাংলা সাহিত্যের অভিষেক ঘটানোর পাশাপাশি তার কৃষি, ব্যাংকিং, সমবায়, শিক্ষা সংগঠন এক জীবনে তাকে দিয়েছে বিশাল ব্যাপ্তি।
রবীন্দ্রনাথ মানুষের আত্মশক্তির উদ্বোধন চেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাপিয়ে দেয়া দর্শন, সাম্রাজ্যবাদ ও অশুভের বদলে মানুষের সুকুমার সত্তার বিকাশ সাধনই ছিল রবীন্দ্র-দর্শনের মর্মকথা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও বৈষম্যের বিলোপ সাধন এবং ধর্ম-বর্ণ-ভাষার বৈচিত্র্যে সমুন্নত রাখতে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও দর্শন এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।
ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, মহিলা সম্পাদিকা সুমি আক্তার শিল্পী, সহ-সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম ইমন, যুব ন্যাপ সমন্বয়কারী বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টু, যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।
Advertisement
কেএইচ/এমবিআর/এমকেএইচ