রাজনীতি

২০ দলীয় জোট থেকে পালাচ্ছে দলগুলো : হাছান মাহমুদ

>> ‘বিএনপির সেনাপতি থাকেন যুদ্ধের মাঠ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে’>> ‘বিএনপি থেকেও পালানো শুরু করেছে অনেকে’ >> ঘুরে দাঁড়াতে বিএনপির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে বললেন হাছান মাহমুদ

Advertisement

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে দলগুলো পালাতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০ দলীয় জোটের আন্দালিব রহমান পার্থ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আর জোটে থাকবেন না। ভবিষ্যতে আমরা আরও অনেককেই দেখতে পাবো ২০ দলীয় জোট থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ১০৯ তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি থেকেও অনেকে পালানো শুরু করেছে, আপনারা দেখেছেন বিএনপি থেকে অনেকে পদত্যাগ করেছে। বিএনপির এমন দশা হোক আমরা চাই না। আমার আশা করেছিলাম বিএনপির জন্ম ভালো না হলেও তারা ভালো হওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন,‘বিএনপি এখন রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দল। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছেন। বিএনপির এই সন্ত্রাসী তকমা মুছতে চাইলে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ক্রমাগতভাবে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি আজকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনবিচ্ছিন্নের আরেকটি বড় কারণ হরো- এদের দলে কোনো আদর্শ নেই, এ দলের নেতাদের মধ্যেও কোনো আদর্শ নেই। তারা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে।

Advertisement

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সেনাপতি তারেক রহমান থাকেন যুদ্ধের মাঠ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে। এ জন্য তাদের দলের এ অবস্থা। তারেক রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা চালানোর অপচেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টা চালিয়ে কোনো লাভ নেই। তারেক রহমান দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত, ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার চেষ্টা চলছে।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যরিস্টার জাকিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের নেতা বলরাম পোদ্দার, স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্নাহ প্রমুখ।

এইউএ/জেডএ/এমকেএইচ

Advertisement