তাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কেন এটা করলেন, কেন ওটা করলেন। কারও কারও তো এমন বলতেও মুখ আটকায় না-সাকিব আল হাসান খেলেন নিজের জন্য, দেশের জন্য নয়।
Advertisement
তবে পরিসংখ্যান আর পারফরম্যান্স দিয়ে বরাবরই সমালোচকদের মুখ বন্ধ রেখেছেন সাকিব। দেশের হয়ে নামলে পেছনের কিছুই যেন তার মনে থাকে না, নিজেকে উজার করে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এবার ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ড খেলতে যাবার আগেও সাকিবকে নিয়ে তৈরি হলো বিতর্ক। আইপিএল খেলে দেশে ফিরলেও বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে ছিলেন না তিনি। যেটি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
তবে বিতর্ক যত বেশি, সাকিবের নিজেকে মেলে ধরার প্রত্যয় যেন তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই সাকিব বুঝিয়ে দিলেন, দেশের জার্সিটা গায়ে চাপালে কোনো কথাই গায়ে লাগে না তার।
Advertisement
বল হাতে নিয়ন্ত্রিত সাকিব, ব্যাট হাতে উজ্জ্বল, ফিল্ডিংয়ে তো বাজপাখির মতো এক ক্যাচ নিলেন। সবমিলিয়ে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত এক সাকিবকেই দেখা গেল মঙ্গলবার।
একটা সময় মনে হচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তিনশো পেরিয়ে যাবে। তবে মাঝের ওভারগুলোতে ভীষণ টাইট বোলিং করেন দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ। যার ফলশ্রুতিতে পরে চাপে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
ম্যাচ জেতার পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সৌম্য সরকারও বললেন, সাকিব-মিরাজের বোলিং জুটিটাই ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে নিয়ে এসেছে।
সৌম্য বলেন, ‘শুরুতে তিনি (মাশরাফি) বেশ সুইং পেয়েছে, তবে তখন উইকেট পাননি। পরে যখন দিন কিছুটা অন্ধকার হয়ে এলো, ঠান্ডা বাড়লো, তখনও তিনি সুইং আদায় করে নেন। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নেয়াটা আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সাকিব ভাই এবং মিরাজ জুটি গড়ে দারুণ বোলিং করেছেন, যেটা আমাদের পক্ষে নিয়ে আসে ম্যাচটা।’
Advertisement
১০ ওভার বল করে সাকিব ১ উইকেট পেলেও খরচা করেন মাত্র ৩৩ রান। ফিল্ডিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে নেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ। এরপর রান তাড়ায় নেমে ব্যাট হাতে ৬১ বলে খেলেন ৬১ রানের হার না মানা এক ইনিংস ।
ফটোসেশন বিতর্ক মাথায় নিয়ে খেলতে আসা সাকিবের কাছে এমন পারফরম্যান্স কি আশা করেছিল দল? সৌম্যর জবাব, ‘তাকে (সাকিব) নিয়ে আমরা কখনই সংশয় রাখি না। আমরা জানি না, বাইরের মানুষ কি বলে। তার উপর সবসময়ই অনেক আস্থা আমাদের এবং তিনি সেটার প্রতিদানও দিয়ে থাকেন।’
এমএমআর/জেআইএম