ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে খুন করতে বাংলাদেশ থেকে কিলার ভাড়া করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানকার গোবরডাঙ্গা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
Advertisement
অভিযোগে বলা হয়েছে, তাকে খুনের ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।
ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। তবে এ ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।
ভারতের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে খুনের জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে বাংলাদেশি ভাড়াটে কিলারদের ঠিক করা হয়। এ জন্য কিলারদের অগ্রিম দেয়া হয় পাঁচ লাখ টাকা, কাজ হলে দেয়া হবে আরও পঁচিশ লাখ।
Advertisement
তবে ভাড়া করা কিলারদেরই একজন ফোন করে মন্ত্রীর ঘনিষ্ট এক ব্যক্তিতে এ খবর জানিয়ে দেন।
গত ৫ মে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সহকর্মীর মোবাইলে সন্ধ্যা ৭টা ও ৯টার দিকে ফোন যায়। নম্বর দুটি হলো- +৮৮০১৭২০৩৬০৩৮৪ ও +৭১১৭২০৩৬০৩৮৪। ফোনের এপার থেকে ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেন বলে দাবি মন্ত্রীর সহকর্মীর।
ফোনেই নাকি সেই ব্যক্তি জানায়, বনগাঁর কুখ্যাত সমাজবিরোধী দেবদাস মণ্ডলকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুর খাদ্যমন্ত্রীকে খুনের বরাত দিয়েছেন। এই দেবদাস আবার ভাড়া করেছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতিদের। এদের অনেকেই বর্তমানে ভারতে ঢুকে পড়েছে। রয়েছে দেবদাস মণ্ডলের আশ্রয়ে। ফোনে যে ব্যক্তি এ তথ্য দেন তিনি নিজেও নাকি বাংলাদেশের দুষ্কৃতিদের মধ্যে একজন বলে জানিয়েছেন, দাবি মন্ত্রীর সহকর্মীর।
এই খবর পাওয়ার পরই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওই দিনই গোবরডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শান্তনু ঠাকুরের নাম।
Advertisement
এদিকে সোমবার ছিল বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। তার আগেই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জখম হন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। বাইপাসের দারে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি থাকলেও ভোটের দিন নিজের এলাকায় যান তিনি। দুর্ঘটনা পেছনে তৃণমূলের অন্তর্ঘাতের অভিযোগও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দাবি করেন, ‘এই ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।’
জেডএ/জেআইএম