জাতীয়

শিশু একাডেমির আকস্মিক ছুটি ঘোষণায় বিপাকে অভিভাবকরা

শিশু একাডেমিতে সন্তানদের ক্লাস করাতে পাঠিয়ে বিপাকে পড়ছেন অভিভাবকরা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ক্লাস শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশুদের ছুটি দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্ট এলাকা থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অপসারণ না করার দাবিতে শিশুদের মানবন্ধনে অংশ নিতে আকস্মিকভাবে ছুটি দেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিশুর অভিভাবক জাগো নিউজের প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ  প্রকাশ করে বলেন, শিশু অভিভাবক ও সংগঠক ফোরামের ব্যানারে যে আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি চলছে তারা এর বিপক্ষে নয়। কিন্তু গত কয়েক শুক্রবার ধরে আকস্মিকভাবে যেভাবে  ছুটি দেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক।তারা জানান, যে সকল অভিভাবক শিশুদের একাডেমিতে নিয়ে এসে ছুটি পর্যন্ত বসে থাকেন তাদের হয়তো বিপাকে  পড়তে হয় না। কিন্তু অনেকেই শিশুদের একাডেমিতে নামিয়ে দিয়ে কাজে  চলে যান। নির্দিষ্ট ছুটির সময়ে এসে সন্তানদের নিয়ে যাান। সম্প্রতি সময়ে তারা হুটহাট ফোন পেয়ে কাজ ফেলে তড়িঘড়ি করে ছুটে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশু একাডেমির তত্ত্বাবধায়ক দেওয়ান হাফিজুর  রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শিশুর অভিভাবকরাই স্বপ্রনোদিত হয়ে আন্দোলন করছেন। আকস্মিকভাবে কেন কর্তৃপক্ষ ছুটি দিচ্ছেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে  তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ছুটি হলেও শিশুদেরকে অভিভাবক ছাড়া গেটের বাইরে যেতে দেয়া হয় না।গত কয়েক শুক্রবারের মতো আজ সকালেও শিশু অভিভাবক ও সংগঠক ফোরামের ব্যানারে শত শত শিশু ও তাদের  অভিভাবকরা একাডেমিক প্রাঙ্গন থেকে মৌন মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবে যায় এবং সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সবার আগে শিশু, শিশুদের আপন আঙ্গিনা থেকে উৎখাত করবেন না, সবার আগে শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত নাগরিক, শিশু একাডেমির আঙ্গিনায়, শিশু জাদুঘর ও শিশু লাইব্রেরি কোথায় পাবো, শিশুদের জন্য একটু ভাবুন, তাদের প্রাণের জায়গা তাদের ফিরিয়ে দিন ইত্যাদি নানা ধরনের ব্যানার ও পোস্টার হাতে মানববন্ধনে ছোট ছোট শিশুদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সুপ্রীম কোর্ট এলাকা থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অপসারিত হচ্ছে কি হচ্ছে না তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। বিজ্ঞ আদালত ১৮ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত শিশু একাডেমি কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়নি। আদালত থেকেও তাদের উচ্ছেদে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।এমইউ/এআরএস/এমএস

Advertisement