চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া-সন্তোষপুর সড়কের পুলিশবক্স থেকে মাত্র ৪শ গজ দূরে পাকিরচারা মাঠ নামক স্থানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির কবলে পড়েছেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান হাফিজ।
Advertisement
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল এ সময় ওই স্থানে ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িসহ ৫টি মিশুক, ৩টি ট্রাক ও ৫টি আলমসাধু আটকে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকাসহ ৮-৯টি মোবাইল লুট করেছে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল ও জীবননগর থানা পুলিশের ওসি শেখ গনি মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, মঙ্গলবার তিনি শাহপুর বাজার মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে উপজেলা শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে তিনি ওই স্থানে পৌঁছালে ১০-১২ জন মুখোশ পরিহিত ডাকাত রাস্তায় গাছ ফেলে তার গাড়ির গতিরোধ করে। এরপর দেশীয় অস্ত্রের মুখে তার কাছ থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা ও দু’টি দামি মোবাইল ফোন এবং তার গাড়িচালক নাজিমের কাছ থেকে নগদ দেড় হাজার টাকসহ ১টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে তার গাড়িটি ব্যাপক ভাংচুর করে।
Advertisement
পরবর্তীতে ডাকাতরা আরো ৫টি মিশুক, ৩টি ট্রাক ও ৫টি আলমসাধু আটকে তাদের কাছ থেকে নগদ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকাসহ ৮-৯টি মোবাইল ফোনলুট করে। ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালানোর পর ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় হাজি হাফিজুর রহমানের একটি এবং তার গাড়িচালকের একটি মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে যায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান আরও জানান, পুলিশ বক্সে কোনো পুলিশ না থাকার কারণেই ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফেরার পথেও তিনি পুলিশ বক্সে কোনো পুলিশ সদস্য দেখতে পাননি। তিনি জীবননগর শহরে ফিরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ সেখানে যান।
সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত কাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সালাউদ্দীন কাজল/এফএ/জেআইএম
Advertisement