আড়াইশ রানের আশেপাশে টার্গেটগুলো বরাবরই বেশ ঝামেলার হয়ে থাকে। লক্ষ্যটা সহজ মনে হলেও হিসেবের বাইরে ব্যাটিং করলেই ম্যাচ চলে যায় প্রতিপক্ষের হাতে। তাই রান তাড়ায় দুই ওপেনারের থাকে গুরুদায়িত্ব।
Advertisement
আপাতদৃষ্টিতে সে গুরুদায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করছেন দুই টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার এবং তামিম ইকবাল। তরুণ সৌম্যর আগ্রাসী ব্যাটিং এবং অভিজ্ঞ তামিমের দায়িত্বশীল উইলোবাজিতে ২৬২ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ।
ডাবলিনের ক্লন্টার্ফ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উদ্বোধনী নিজের দুর্দান্ত ফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সৌম্য। অপরপ্রান্তে রয়েসয়েই খেলছেন তামিম। দুজন মিলে গড়েছেন শতরানের জুটি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০০ রান। ফিফটি তুলে নিয়ে ৪৮ বলে ৫২ রানে অপরাজিত সৌম্য, তামিম খেলছেন ৬৬ বলে ৩৭ রান নিয়ে।
Advertisement
২৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ সাবধানী করেছিলেন তামিম এবং সৌম্য। তবে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলার আভাস দিয়ে রেখেছিলেন সৌম্য। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারির খাতা খোলেন তিনি। আবার পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই দ্বিতীয় বাউন্ডারিটিও মারেন তিনি।
তবু তামিমের অতিরিক্ত সাবধানী ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের দশম ওভারের পরপর দুই বাউন্ডারি হাঁকানোর মাধ্যমে নিজের বাউন্ডারির খাতা খোলেন তামিম।
প্রথম পাওয়ার প্লে'র পর খানিক হাত খুলে খেলতে শুরু করেন দুজনই। তবে বাউন্ডারির চেয়ে ১-২ নিয়ে খেলার দিকে মনোযোগী হন তামিম। অন্যদিকে সৌম্য খেলতে শুরু করেন নিজের সাবলীল ভঙ্গিতে, বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে।
ইনিংসের ১২তম ওভারে ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে প্রথম ছক্কা মারেন সৌম্য। ১৮তম ওভারের শেষ বলে হোল্ডারকেই বাউন্ডারি হাঁকানোর মাধ্যমে নিজের অষ্টম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এ মাইলফলকে পৌঁছতে ৪৭ বলে ৭ চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকান সৌম্য।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম