ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘ধর্মের নামে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঘৃণ্য বিষয়। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সবার সহযোগিতায় ধর্মীয় এসব কার্যকলাপ প্রতিহত করা হবে।’
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মোহাম্মদপুর, ঢাকার সিবিসিবি সেন্টারে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘পালক-পুরোহিতদের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীর কাছে তার ধর্ম শ্রেষ্ঠ, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র বিষয়। সব কিছুর ঊর্ধ্বে মানব ধর্ম যা প্রতিটি ধর্মের ক্ষেত্রে সত্য। প্রতিটি ধর্মের মূল বিষয়গুলোতে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। সে সাদৃশ্যসমূহকে অবলম্বন করে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত দেশের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি সব ধর্মের অনুসারীদের জন্য বাসযোগ্য ও নিরাপদ দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেখানে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংযোজন করেছিলেন।’
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার অর্থ হলো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই থাকুক না কেন তাদের দায়িত্ব হবে প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদেরকে তাদের নিজস্ব মতে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা প্রদান করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ গড়ার নতুন স্লোগান হলো, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অংশীদার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমানসহ সব ধর্মের অনুসারীরা। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যায় পবিত্র এ জায়গাকে আমি কোনো মতেই অপবিত্র হতে দেব না। আমি নিজে অন্যায় করব না, অন্য কাউকে অন্যায় করতে দেব না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুরোহিতরা খ্রিস্টান ধর্মের মূল্যবোধ প্রচার করে তরুণ সমাজকে দেশ গড়ার সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে যুক্ত করবেন।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা জীবনের মূল্যে হলেও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্প্রীতির বন্ধনকে সৃদৃঢ় করতে সব ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সবার সহযোগিতায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আরেং এমপির সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সচিব নির্মল রোজারিও, ট্রাস্টি উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার। সভায় খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পালক-পুরোহিত অংশগ্রহণ করেন।
Advertisement
এমইউ/এমআরএম/পিআর