প্রবাস

যুক্তরাজ্যে সালমান এফ রহমানকে সংবর্ধনা

বাংলাদেশ সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, শিল্পপতি, বেক্সিমকো প্রাইভেট লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ঢাকা ১ (দোহার নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দোহার ও নবাবগঞ্জবাসী।

Advertisement

৬ মে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় পুর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেন্যুতে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হক ও ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমামের পরিচালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহম্মেদ।

পরে প্রধান অতিথিকে যুক্তরাজ্যস্থ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ, যুক্তরাজ্য মহিলা লীগ, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগ, যুক্তরাজ্য যুবলীগ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, দোহার অ্যাসোসিয়েশন ইউকে, নবাবগঞ্জবাসী, বিক্রমপুর বাসী, বৃহত্তর ফরিদপুরবাসী, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ, গ্রেটার কুমিল্লা এলায়েন্স, শিল্পকলা একাডেমি, গ্রেজুয়েট ক্লাব ইউকেসহ আরো অন্যান্য সংগঠন।

বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ সামসুউদ্দীন খান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুল হক ফারুক, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খরমুজ আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহির রায়হান সহ-যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা, দোহার ও নবাবগঞ্জবাসীরা।

Advertisement

প্রধান অতিথি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে চিন্তা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এখন জননেত্রীর লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা। এ লক্ষ্য পূরণে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের রোল মডেলের স্বীকৃতি পেয়েছে তা কেবলমাত্র সম্ভব হয়েছে বেসরকারি খাতের কারণে। বর্তমান সরকার বেসরকারি খাতের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, বেসরকারি ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, বিমান, টেলিভিশনের অনুমতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন বলেই আজকে আমাদের এ উন্নয়ন। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাইভেট সেক্টরের প্রতি দিতে হবে।

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলে, আজকে বাংলাদেশের যে অর্থনীতির ভিত স্থাপন করেছেন এর পুরো সাফল্য প্রবাসীরা। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ছাড়া আমরা এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। আগামী বাজেটে প্রবাসীদের জন্য অনেক ভালো খবর আছে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকে প্রবাসীদের কাছ থেকে শুধু মাত্র রেটিট্যান্সই নয় পাশাপাশি প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার সহযোগিতা দরকার। দেশ গঠনে তিনি সব প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মো. মেহেদী হাসান।

Advertisement

ফিরোজ আহম্মেদ (বিপুল), লন্ডন/এমআরএম/পিআর