কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় এক গৃহবধূ ও যুবক হত্যা মামলায় এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে যুবক হত্যা মামলার রায় দেন। পাশাপাশি বেলা সাড়ে ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে গৃহবধূ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মিরপুর উপজেলার বালিয়া শিশা গ্রামের সাদেক আলী মন্ডলের ছেলে আজাদ মন্ডল ওরফে আজাদ সাহেব (৩৫)।
যুবক হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মিরপুর উপজেলার কবরবাড়িয়া গ্রামের জামাল প্রামাণিক, আতর আলী, জামান হোসেন, আসাদুল মোল্লা, মেহের আলী মালিথা, সাতগাছি গ্রামের রুবেল মালিথা ও আসলাম মালিথা।
Advertisement
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ মে রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে তুলি খাতুনকে (১৬) যৌতুক দাবিতে স্বামী আজাদ মন্ডল নির্যাতন চালিয়ে হত্যা শেষে গলায় রশি বেঁধে বাড়ির পাশে আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
অপর মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুন সকাল সাড়ে ৬টায় ছোট ভাই ডাবলুকে গলা কেটে হত্যা শেষে জিকে ক্যানেলের ব্রিক ফিল্ডের পাশে পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় নিহত ডাবলুর বড় ভাই আতর আলী বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে সাতজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের কৌঁসুলি আকরাম হোসেন দুলাল বলেন, স্ত্রী তুলি খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী আজাদ মন্ডলের মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
Advertisement
আল মামুন সাগর/এএম/পিআর