সফলভাবে পর্তুগাল মাল্টিকালচারাল একাডেমির পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কোর্সের প্রথম ব্যাচের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় এ উপলক্ষে লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Advertisement
একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মো. রাসেল আহম্মেদের সঞ্চালনায় এবং মো. সম্রাটের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির কোষাধ্যক্ষ শওকত আজিজ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিসবন সিটি কাউন্সিলর রানা তসলিম উদ্দিন, বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, রাজনৈতিক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জহিরুল আলম জসিম, প্রবাসী কবি ও ছড়াকার মোরশেদ কমল, পর্তুগালের তরুণ সফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাসেল, শাহীন সায়ীদ ও জিল্লুল রহমান।
আরও পড়ুন> খরচের ভয়ে প্রবাসীর লাশ নিচ্ছে না পরিবার
Advertisement
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাডেমির ১ম ব্যাচের সাবেক পর্তুগিজ শিক্ষক তেরেসা ও বর্তমানে চলমান ৩য় ব্যাচের শিক্ষক সুফিয়া। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. সম্রাট বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত যে আমাদের পাসের হার শতভাগ এবং আমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
উপস্থিত অতিথিরা এই একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রবাসে বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠান বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে তাদের নতুন সেবা ‘লিসবন ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ যেখান থেকে প্রবাসীরা বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করে স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। পর্তুগিজ সরকার থেকে প্রদত্ত অভিবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করা হবে।
সেবা সমূহের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় মানুষসহ পর্তুগালে অবস্থানরত বিভিন্ন কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন তৈরি করা, বাংলাদেশের একাডেমিক সার্টিফিকেট পর্তুগিজ সমমান করা, বিভিন্ন ধরনের কর্মদক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ প্রদান, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা বৃদ্ধিতে এবং লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করা।
Advertisement
জব সেন্টার, বাসস্থান, প্রফেশনাল সিভি তৈরি, মোটিভেশনাল লেটার ও বহু জাতিক প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত করা। আরো রয়েছে ফ্রি পর্তুগিজ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবসহ ইংরেজি, জার্মান, ফরাসী, রাশিয়ান, আরবি ও চাইনিজ ভাষা শেখার সুযোগ। তাছাড়া অভিবাসীদের বিভিন্ন ধরনের বৈধ ও আইনি সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ভাষা সনদপত্রটি লেভেল ‘এ’১ এবং ‘এ’ ২ সমমানের যা পর্তুগিজ নাগরিকত্ব আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ও অপরিহার্য। মাত্র দুই মাসের স্বল্প মেয়াদি কোর্সটি যেকোনো দেশের অভিবাসী সম্পূর্ণ করতে পারে একাডেমি থেকে সকাল ও বিকেলে, যা পূর্বে অনেক দূরহ ব্যাপার ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশি অভিবাসী ছাড়াও এখানে পর্তুগিজ ভাষা শিখছেন ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, নেপাল ও আফ্রিকান দেশের অভিবাসীরা।
মো. রাসেল আহম্মেদ, (লিসবন পর্তুগাল)/এমআরএম/পিআর