আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজশাহীর গরুর হাটগুলোতে পাইকারি ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। প্রতিবছর ভারতীয় গরুর আমদানি বেশি থাকলেও এবারের হাটগুলোতে দেশি গরুর আধিক্য বেশি দেখা যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ায় রাজশাহীতে বেড়েছে দেশি জাতের গরুর খামার। একই সঙ্গে বাড়িতে বাড়িতে গরু পালন শুরু করেছেন কৃষকরা। দেশে গরুর মাংসের চাহিদা মেটাতে গরু উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলায় গরুর খামার রয়েছে প্রায় ৮৯৮টি। যেখানে প্রায় দেশি গরু রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৮টি এবং শংকর জাতের গরু রয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৬টি। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগুলোর বেশিরভাগ বাড়িতে নিজেদের সাধ্যমতো গরু পালন করতে শুরু করেছে। আবার কেউ খামার আকারে পশু পালন করতে না পারলেও বাড়িতে একটি অথবা দুইটি গরু পালন করছেন লাভের আশায়।সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটগুলোতে এবারে দেশি গরুর আধিক্য অনেক বেশি। সাধারণ ক্রেতারা এখনো হাটে না আসলেও পাইকাররা ভিড় জমাচ্ছেন হাটগুলোতে। দেশের বিভিন্ন জেলায় গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজশাহীর হাটগুলোতে আগাম নেমেছেন পাইকাররা।হাটে আসা সোলাইমানসহ কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে জানান, প্রতি বছরই ভারতীয় গরু হাটে বেশি থাকে। কিন্তু এবারে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়ার কারণে হাটগুলোতে দেশি গরুর আধিক্যই বেশি। তবে গত বছরের চাইতে এ বছর গরুর দামও বেশি হবে।রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর গরু ও ছাগলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবছর জেলা বিভিন্ন উপজেলায় ছোট ছোট খামার গড়ে উঠতে শুরু করেছে। গ্রামের মানুষের মধ্যে গরু পালনের আগ্রহ ফিরে এসেছে। সময় মতো এসব ছোট ছোট খামারিদের ভ্যাক্সিন, পালন কৌশল ও দিক নির্দেশনা দিতে পারলে এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশ থেকে আমদানির আশা করতে হবে না। আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো।শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমএস
Advertisement