লাইফস্টাইল

রোজায় কোন খাবারগুলো খাবেন?

রোজায় খাবার তালিকায় কী থাকবে আর কী থাকবে না- এই নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না অনেকে। ইফতারে নানা মুখরোচক খাবার দেখে নিজেকে সামলে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। আবার সেহরিতে রুচি কম থাকায় খাওয়া সম্ভব হয় না তেমনকিছুই। তাই চলুন জেনে নেই রোজায় সেহরি ও ইফতারে কোন খাবারগুলো খাবেন-

Advertisement

আরও পড়ুন : যে ৫ কারণে সয়াবিন খাওয়া জরুরি

রোজায় খাবার হিসেবে তালিকায় পানি, ফল, চিড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি রাখতে পারেন। মানসম্পন্ন হালিম শরীরের জন্য উপকারী হবে। এটি শক্তি বাড়ায়। বিরিয়ানি, তেহারির মতো খাবার রোজায় এড়িয়ে যাওয়া ভালো। তবে মাঝেমাঝে ইফতারির পর কম তেলযুক্ত তেহারি খাওয়া যেতে পারে।

সেহরিতে শাক কম খেয়ে মুরগি মাংস, ডাল, খাওয়া ভালো। সেহরির সময় না খেলে আমাদের দেহের বিপাকক্রিয়ায় বেশ পরিবর্তন আসতে পারে। এতে গ্লুকোজ ক্ষয় বেশি হয় বলে ক্লান্তি আসে। অল্প হলেও কিছু খাওয়া ভালো।

Advertisement

সেহরিতে মাংস ও ডিম খাওয়া সুবিধাজনক। এই সময়টাতে ঘন ডাল খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ছোট-বড় সবার জন্যই এক কাপ দুধ খাওয়া উচিত। কারণ, খাবারে চাহিদামতো প্রোটিন বা আমিষ না থাকলে উপবাসের সময় শক্তির ঘাটতি দেখা দেবে। সেহরিতে পেট ভরে না খাওয়াই ভালো।

ইফতারের তাজা ফল বেশি খেতে হবে। শরবত বা ডাবের পানি, কাঁচা ছোলা, কম তেলে ভাজা ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি অথবা আলুর চপ বা যে কোনো একটি তেলে ভাজা মুড়ি অথবা চিড়া এবং ফল খাওয়া যেতে পারে। তবে যেদিন হালিম অথবা খিচুড়ি খাওয়া হবে সেদিন বেসনের বা ডালের তৈরি ভাজা খাবার এবং মুড়ি বা চিড়া বাদ দেওয়া ভালো। আবার নুডলস অথবা ফ্রায়েড রাইস খেলেও মুড়ি অথবা চিড়া বাদ দেওয়া উচিত।

সারাদিন না খাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে পানিশূণ্যতার সৃষ্টি হবে। তাই ইফতারিতে অবশ্যই বেশি করে পানি খেতে হবে। অনেকেই শরবত খেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কম চিনি দিয়ে লেবুর রস মিশ্রিত শরবত শরীরের জন্য ভালো।

বেশি গরম পড়লে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো। কারণ রোজার সময় শরীরের এনজাইম যা হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় সেটি বন্ধ থাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন : তরমুজ কেন খাবেন?

রোজায় খেয়াল রাখুন খাদ্যাভ্যাসের প্রতি। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, সুস্থ থাকুন। একটু বেখেয়ালে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ইবাদত ও নিত্যদিনের কাজে মনোনিবেশ করতে সমস্যা হবে।

এইচএন/এমকেএইচ