স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে মাগুরায় বিষপানে সাবিকুন্নাহার রূপা (৩২) নামে এক নারী আইনজীবী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
Advertisement
রূপার বড় ভাই মইনুল হোসেন অপু বলেন, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান মুন্সীর ছেলে তমাল মাহমুদের সঙ্গে ১২ বছর আগে রূপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ভালোই ছিল। সম্প্রতি রূপার স্বামী তমাল গোপনে গৃহকর্মীকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানতে পারে রূপা। বৃহস্পতিবার রাতে রূপা আমাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় সে খুব বিপদের মধ্যে আছে। আমাকে শুক্রবার সকালে মাগুরা আসতে বলে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবারে আসতে না পারায় রোববার বিকেলে মাগুরায় আসি আমি। রাতে রূপা এবং তমালকে এক জায়গায় বসিয়ে তমালের কাছে বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাই। তখন তমাল স্বীকার করে সে রূপাকে না জানিয়ে গৃহকর্মীকে বিয়ে করেছে।
অপু আরও বলেন, বিয়ের সত্যতা জেনে সোমবার সকালে কীটনাশক পান করে রূপা। তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রূপার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরিদপুর থেকে রূপার মরদেহ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রূপা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার নবীর হোসেন মোল্যার মেয়ে।
Advertisement
মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান বলেন, সাবিকুন্নাহার রূপা দুই বছর আগে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তার মৃত্যুতে আদালত অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রূপার বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে ও আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য স্বামী তমাল মাহমুদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
মাগুরা সদর থানা পুলিশের ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরাফাত হোসেন/এএম/জেআইএম
Advertisement