জাতীয়

পুনরায় মাদকাসক্তিদের ৫২.১ শতাংশ কারাবন্দি হন

মাদকাসক্ত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর পুনরায় মাদকাসক্তিদের ৫২.১ শতাংশ কারাবন্দি হন। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ একবার, ৪১.৯ শতাংশ দুই থেকে পাঁচবার এবং ১৫.১ শতাংশ পাঁচবারের বেশি আইনগত কারণে গ্রেফতার হন।

Advertisement

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য ওঠে আসে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৬২.৭ শতাংশ পুনঃনির্ভরশীল মাদক গ্রহণকারীরা ১৮ বছর বা আরও কম বয়স থেকে মাদক ব্যবহার শুরু করে। ৭০ শতাংশ রোগীর অর্থের উৎস তাদের অভিভাবক এবং ৭০.৬ শতাংশ ব্যক্তি নিজস্ব কৌতূহল থেকে মাদক গ্রহণ করেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে জানান, ৯০.৬ শতাংশ ব্যক্তি ধূমপানের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ শুরু করেন, ৮২ শতাংশ মাদক গলঃধকরণ করেন, ২৬.২ শতাংশ শ্বাসের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ৯৮.৯ শতাংশ এই পরিসংখ্যানের জন্য তথ্য সংগ্রহের আগে মাদকনির্ভরশীলতার জন্য আবাসিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন, যেখানে ৬৫.৮ শতাংশ নির্বিষকরণ ও পুনর্বাসনের জন্য ৩১ থেকে ৯০ দিনব্যাপী কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, ৪২.৪ শতাংশ কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণ করেন এবং ৪২ শতাংশ চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হবার পর কেন্দ্রের ফলোআপ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

Advertisement

প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। এছাড়া অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ডা. হায়াতুন নবী এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মাদক পুনরাসক্তির ওপর একটি ক্রস সেকশনাল বর্ণনামূলক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৭৭টি মাদক চিকিৎসা কেন্দ্রের মধ্যে দেশের মোট ১৩৮টি কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণরত ৯১১ জন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি, যারা আগে অন্ততপক্ষে একবার মাদক ব্যবহার জনিত কারণে চিকিৎসা নেয়ার পর আবার পুনরায় আসক্ত হয়েছেন এবং যাদের কোনো মারাত্মক মানসিক বা শারীরিক রোগ নেই তাদের অর্ন্তভুক্ত করে ইন-ডেপথ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্যাদি সংগ্রহ করে এই গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়েছে।

এফএইচএস/আরএস/পিআর

Advertisement