জাতীয়

চাঁদ দেখা গেছে, রমজান শুরু মঙ্গলবার

দেশের আকাশে সোমবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে)। আগামী ১ জুন শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

Advertisement

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

রমজান মাস শেষেই আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এবার ২৯ দিনেই শেষ হলো শাবান মাস।

সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪০ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আমরা ৫৪টি জেলা থেকে চাঁদ দেখার সংবাদ পেয়েছি। মঙ্গলবার থেকে রমজান মাস শুরু হচ্ছে।

Advertisement

আগামী ১ জুন শনিবার দিবাগত রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার রাতেই (এশার নামাজের পর) ২০ রাকাত তারাবি নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সেহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সেহরির শেষ সময় রাত ৩টা ৫২ মিনিট। মঙ্গলবার প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ৩৪ মিনিট।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যেকোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।

এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।

Advertisement

অপরদিকে রোববার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে সোমবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে।

পবিত্র রমজানে দেশের সকল মসজিদে খতম তারাবি একই পদ্ধতিতে অনুসরণের জন্য ইতোমধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, পবিত্র রমজানে দেশের বিভিন্ন মসজিদে খতম তারাবিতে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াতের রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে কর্ম উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও অতুষ্টি অনুভূত হয়। কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ছয়দিনে দেড় পারা করে নয় পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল কদরে কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেখতে ক্লিক করুন

আরএমএম/জেএইচ/এমএআর/জেআইএম