জাতীয়

বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে অঙ্গীকারবদ্ধ : স্পিকার

বাংলাদেশ আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদ দমনে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানেয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। দিল্লীতে দিল্লী পলিসি গ্রুপ আয়োজিত ‘ভিশন ২০১৪ আঞ্চলিক সহযোগিতা’ শীর্ষক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। - খবর বাসসতিনি বলেন, আঞ্চলিক সমন্বয় ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু । ভারত সরকার ও সে দেশের জনগন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছিল সেটা বাংলাদেশ চিরকাল মনে রাখবে।তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা দু’দেশের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করে পারস্পরিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে নিশ্চিত করেছে।এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪ টি অভিন্ন নদী থেকে যথাযথ পানিবন্টনের মাধ্যমে দু’দেশের পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।স্পিকার বলেন, এ অঞ্চলের কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সহযোগিতার মাধ্যমে সর্বোৎকৃষ্ঠ পন্থা খুঁজে বের করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, জনগণের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশকে আন্তরিকভাবে একযোগে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়ন, সকল প্রকার সন্ত্রাস রোধের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সকল দেশকে একযোগে কাজ করে টেকসই উন্নয়নকে নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সকল দেশকে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে হবে।শিরীন শারমিন বলেন, আঞ্চলিক সমন্বয় নিশ্চিত করতে সার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তাদের উন্নয়নকে নিশ্চিত করতে সমন্বিত উদ্যোগকে কাজে লাগিয়েছে। আগামীতে সার্কও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।সার্কের প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল শীলকান্ত শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী সুনীল বাহাদুর থাপা, শ্রীলংকার প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিথা বোগোল্লাগামা বক্তব্য রাখেন। এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক এ. করিম উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement