আন্তর্জাতিক

ইরানকে মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সসহ হামলা চালাতে সক্ষম একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন দাবি করেছেন, ইরানের প্রতি ‘পরিষ্কার এবং নির্ভুল বার্তা’ দিতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

জন বোল্টন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামলা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার হুমকি ও সংকেত পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে টাস্কফোর্সসহ মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন এবং বোমাবর্ষণে সক্ষম একটি বিশেষ টাস্কফোর্স ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।’

বোল্টন হুশিয়ারি উচ্চার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্বার্থ বা তাদের মিত্রের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো হলে কঠোর জবাব দেয়া হবে। সেটা ইরানের বিপ্লবী বাহিনী, দেশটির নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা অন্য কোনো বাহিনী হোক।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না তবে যেকোনো ধরনের হামলা মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি আমরা। বোল্টন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। মার্কিন এক সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং তার সমর্থকদের সম্ভাব্য প্রস্তুতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র তার বাহিনীকে পাঠিয়েছে। তাদের এসব প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে, পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার পায়তারা চলছে।

Advertisement

সামরিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর নিয়মিত মহড়ার অংশ হিসেবে টাস্কফোর্সসহ রণতরী মোতায়েন করছে দেশটি। কিন্তু মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন কিছু একটা বলে এর ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছেনমাত্র।

গত ৮ এপ্রিল ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, নিয়মিত মহড়ার অংশ হিসেবে ১ এপ্রিল ভার্জিনিয়ার নৌঘাঁটি থেকে যাত্রা শুরু করে বিশেষ টাস্কফোর্স নিয়ে গঠিত এই রণতরী।

ইরান বলছে, তাদের উদ্দেশে ‘পরিষ্কার এবং নির্ভুল বার্তা’ দেয়ার যে দাবি বোল্টন করেছেন তা যথার্থ নয়। তার ঘোষণা দেয়ার আগেই নিয়মিত মোতায়েনের অংশ হিসেবে মার্কিন রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন মধ্যপ্রাচ্য আভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে।

এসএ/এমকেএইচ

Advertisement