বর্তমানে সবার হাতে হাতে ক্যামেরা। অত্যাধুনিক ক্যামেরার পাশাপাশি সবার মুঠোফোনেও রয়েছে ক্যামেরা। ক্যামেরা না হলে যেন জীবনটাই বৃথা। কিন্তু একবার ভেবেছেন কি, কোথা থেকে এলো বস্তুটি? তাহলে জেনে নিন ক্যামেরার আবিষ্কারক সম্পর্কে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাইফুর রহমান তুহিন-
Advertisement
প্রাচীন গ্রীকরা মনে করতো যে, আমাদের চোখে লেজার রশ্মির মতো আলোকরেখা রয়েছে। যা আমাদের দেখতে সাহায্য করে। দশম শতাব্দীতে মুসলিম গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী ইবনে আল-হাইতাম সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন যে, চোখ থেকে যতোটা আলো বেরোয় তার চেয়ে বেশি আলো চোখে প্রবেশ করে।
> আরও পড়ুন- আমরা ফোনে ‘হ্যালো’ বলি কেন?
আলো উইন্ডো শাটারের মাধ্যমে একটি বিন্দুতে প্রবেশ করতে পারে- এটি বুঝতে পারার পর তিনি প্রথম পিনহোল ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। আল-হাইতাম বুঝতে পারেন যে, বিন্দু যতো ছোট হবে ছবি ততো ভালো হবে। এ উপলব্ধি থেকে তিনি প্রথম অবসকিউরা (ডার্করুম) স্থাপন করেন।
Advertisement
একটি পরীক্ষণের মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার দার্শনিক রূপ তুলে ধরার জন্যও তিনি বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারী। ১০২১ সালে ইরাকের এ বিজ্ঞানী আলোক বিজ্ঞানের ওপর সাত খণ্ডের একটি বই লিখেছিলেন। আরবি ভাষায় লেখা বইটির নাম ছিল কিতাব আল মানাজির। সেখান থেকে ক্যামেরা উদ্ভাবনের সূত্রপাত।
> আরও পড়ুন- নারীর হাতে এগিয়ে যাচ্ছে অটোমোবাইল
১৫০০ শতাব্দীতে এসে চিত্রকরের একটি দল তাদের আঁকা ছবিগুলোকে একাধিক কপি করার জন্য ক্যামেরা তৈরির প্রচেষ্টা চালান। এর ধারাবাহিকতায় ১৫৫০ সালে জিরোলামো কারদানো নামের জার্মানির একজন বিজ্ঞানী ক্যামেরাতে প্রথম লেন্স সংযোজন করেন।
তখন ক্যামেরায় লেন্স ব্যবহার করে শুধু ছবি আঁকা হতো। তখনও আবিষ্কৃত ওই ক্যামেরা দিয়ে কোনো প্রকার ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। ক্যামেরার ইতিহাসে একটি মাইলফলক ছিল ১৮২৬ সাল। সে বছরই প্রথমবারের মতো আলোকচিত্র ধারণের কাজটি করেন জোসেপ নাইসপোর নিপস।
Advertisement
লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক।
এসইউ/এমকেএইচ