ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার। জিতলে টিকে থাকবে, হারলেই বিদায়ের ঘণ্টা প্রায় বেজে যাবে। মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মুম্বাইয়ের কাছে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কি না হেরেই বসলো শাহরুখ খানের দল।
Advertisement
শুধু হারই নয়, ৯ উইকেটের ব্যবধানে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে বলা যায়। যে কারণে রান রেটও গেছে কমে। যার ফলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকার কারণে বিদায়ই নিতে হলো কেকেআরকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইকে কেবল ১৩৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা। জবাবে ১৬.১ ওভারেই (২৩ বল হাতে রেখে) ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বাই।
কলকাতাকে বড় ব্যবধানে হারানোর ফলে মুম্বাইর সবচেয়ে বড় লাভ যেটা হলো, সেটা হচ্ছে শীর্ষে থেকেই শেষ চারে খেলতে যাচ্ছে তারা। চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে পয়েন্ট সমান ১৮ করে হলেও রান রেটের কারণে সবার চেয়ে এগিয়ে মুম্বাই। দ্বিতীয় হলো চেন্নাই। তৃতীয় দিল্লি এবং ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে, অর্থ্যাৎ ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে উঠলো হায়দরাবাদ।
Advertisement
১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি কক আর রোহিত শর্মা মিলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। এ সময় ২৩ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান ডি কক। এরপর জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু করে নেন রোহিত শর্মা আর সুর্যকুমার যাদব। ৪৮ বলে ৫৫ রানে রোহিত, ২৭ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন সুর্যকুমার যাদব।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৭ উইকেট হারিয়ে কেবল ১৩৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় কেকেআর। ক্রিস লিন সর্বোচ্চ ৪১, রবিন উথাপ্পা ৪০ এবং নিতিশ রানা করেন ২৬ রান। সেই শুভমান গিল করেন মাত্র ৯ রান। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আন্দ্রে রাসেল পুরো নিষ্প্রভ। গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হলেন তিনি। লাসিথ মালিঙ্গা ৩৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়া।
আইএইচএস/
Advertisement