আইন-আদালত

১৬তম সংশোধনীর রুল : অপর অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্যগ্রহণ বুধবার

জাতীয় সংসদের হাতে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী সংক্রান্ত হাইকোর্টের রুলের শুনানি আগামী বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে ব্যারিস্টার রোকন-উদ্দিন মাহমুদ অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো তার মতামত তুলে ধরেন।রোকন-উদ্দিন মাহমুদ ১৬তম সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। এরপর আদালত আগামী বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। ওইদিন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তার বক্তব্য রাখতে পারেন। শুনানিকালে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু উপস্থিত ছিলেন।এর আগে গত ২০ আগস্ট সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ১৬তম সংশোধনী বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে বলে মত দেন। তিনি বলেছিলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অন্যতম অংশ। তাই এই সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থি। বিচারপতিদের অপসারণে সংবিধানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ে তা বহাল থাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় উপেক্ষা করে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে এই রিট আবেদন দায়ের করেন। হাইকোর্ট এই সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।গত ২১ মে রুলের উপর আবারো শুনানি শুরু হয়। ওইদিন পাঁচজন সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, রোকন-উদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসিকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।এফএইচ/বিএ

Advertisement