বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়ে গেছে ৩০৫ রান করার পরই। সাই হোপ আর জন ক্যাম্পবেলের সামনে অপেক্ষায় ছিল আরও একটি বিশ্বরেকর্ড ভাঙার। সেই বিশ্ব রেকর্ডটি ভাঙতে পারলে তারা দু’জন উঠে যেতেন ইতিহাসের এমন এক চূড়ায়, যার ওপরে আর কেউ নেই।
Advertisement
২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিস গেইল আর মারলন স্যামুয়েলস দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছিলেন ৩৭২ রানের এক অতিমানবীয় জুটি। যে ম্যাচে গেইল খেলেছিলেন ২১৫ রানের বিশাল একটি ইনিংস।
সাই হোপ আর জন ক্যাম্পবেল দাঁড়িয়েছিলেন গেইলদের সেই বিশ্বরেকর্ডের চেয়ে মাত্র ৭ রান দুরে। এ সময়ই ভুলটা করে বসলেন জন ক্যাম্পবেল। ব্যারি ম্যাকার্থির করা ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন জন ক্যাম্পবেল। মিড অফে দৌড়ে এসে আকাশে উঠে যাওয়া বলকে লুফে নেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
ভেঙে যায় ৩৬৫ রানের এক অতিমানবীয় জুটির। ওয়ানডে ক্রিকেটের উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর নিজেদেরকে কেবলই ছাড়িয়ে গেলেন তারা দু’জন। কিন্তু গেইল আর স্যামুয়েলসের ৩৭২ রানের বিশাল জুটিটিকে আর টেক্কা দিতে পারলেন না।
Advertisement
আউট হওয়ার সময় জন ক্যাম্পবেল ১৩৭ বল খেলে করেন ১৭৯ রান। ১৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি ছক্কা মারেন ৬টি। জন ক্যাম্পবেলের স্ট্রাইক রেট ১৩০.৬৫ করে।
অসাধারণ এক জুটি গড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থক থেকে শুরু করে দুই দলের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারাও করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান জন ক্যাম্পবেলকে।
তিনি আউট হওয়ার পর অবশ্য তার সঙ্গী সাই হোপও টিকতে পারলেন না। আউট হয়ে গেলেন ১৭০ রান করে। তিনি আউট হন ৩৬৯ রানের মাথায়। ১৫২ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ২২টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায়।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement