জাতীয়

লাজ ফার্মার কাণ্ডে হতবাক ক্রেতারা

দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত একটি ওষুধ বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে লাজ ফার্মার নাম সবার কাছেই পরিচিত। তবে সেই লাজ ফার্মাই দিনের পর দিন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে এসেছে। বৃহস্পতিবার অনুমোদনহীন ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ওষুধ বিক্রির দায়ের তাদের অর্থদণ্ড দেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার লাজ ফার্মার কলাবাগান শাখায় অপারেশন চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অনুমোদিত এবং ‘স্বাস্থ্যহানিকর’ ওষুধ জব্দের পর ৪ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয় তাদের। অপারেশন চলাকালীন প্রত্যক্ষদর্শী শিফাত নুর জাগো নিউজকে জানান, আমরা লাজ ফার্মাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতাম। তবে আজ তাদের এসব ওষুধ দেখে আমরা হতবাক। লাজ ফার্মার অপারেশনটির নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহমেদ। তিনি জাগো নিউজকে জানান, লাজ ফার্মা গ্যাস্ট্রিক, হার্টের মতো স্পর্শকাতর রোগের ওষুধ বিদেশ থেকে এনে অবৈধভাবে বিক্রি করতো। এগুলোর ল্যাব টেস্ট কিংবা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন নেই। এসব ওষুধ খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে তাদের অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।  অভিযানে যেসব ওষুধ জব্দ করা হয়েছে অতি মুনাফার জন্য এগুলো দেশের বাইরে থেকে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে আনিয়েছে লাজ ফার্মা। তবে আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশের ওষুধ বিভিন্ন রকম হয়। বিদেশি এসব ওষুধ লাজ ফার্মা বিক্রি করতে পারবে কিনা এজন্য তাদের ল্যাব টেস্ট করার প্রয়োজন ছিল। তবে জনগণের স্বাস্থ্যের কথা তোয়াক্কা না করে লাজ ফার্মা অনবরত এগুলো বিক্রি করে আসছে। সাদাফ হোসেন নামে আরেক ক্রেতা জানান, আমি ১৭ বছর ধরে লাজ ফার্মা থেকে ওষুধ কিনি। তবে কখনো বুঝতে পারিনি যে তারা অনুমোদনহীনভাবে অবৈধ ওষুধ বিক্রি করবে। লাজ ফার্মার মতো অন্যান্য বড় বড় ফার্মেসিগুলোতেও অভিযান চালানো হোক। অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধে রাজধানীতে এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান ফিরোজ আহমেদ। এআর/পিআর

Advertisement