ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভোলার মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তিন গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ। শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এদিকে, লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে জোয়ারের পানিতে ডুবে মো. হাসান (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাসান ওই এলাকার মো. জসিমের ছেলে।
অপরদিকে, মনপুরা উপজেলার চর নিজামে জোয়ারের পানিতে প্রায় শতাধিক গবাধি পশুর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরন্নবী।
স্থানীয়রা জানান, মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফকিরের দোন এলাকায় নতুন বেড়িবাঁধ ভেঙে হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর ও মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ প্লাবিত হয়। পাশাপাশি হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ওই এলাকায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
Advertisement
চরনিজামের হারুন, সুমন ও বাবুল নামে কয়েকজন কৃষকের শতাধিক ভেড়া ও ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গুরিন্দা বাজার সংলগ্ন মনমোহন ম্যানেজারের বাড়ির সামনের ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়। লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. জসিমের ছেলে হাসান জোয়ারের পানিতে ডুবে মারা যায়।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ বলেন, মনপুরাতে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। তজুমদ্দিনের যে বাঁধ ভেঙে গেছে তা দ্রুত সংস্কার করা হবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, পানিবন্দি পরিবারগুলোকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি।
এদিকে, শনিবার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার গুলি মাধ্যমিক বিদ্যলয় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে স্থানীয়ভাবে রান্না করে খিচুড়ি বিতরণ করেছেন ভোলা জেলা প্রশাসক।
Advertisement
এএম/এমকেএইচ