দেশজুড়ে

ফণীর আঘাতে ফেনীতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ফেনীতে শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি, বিদ্যুতের খুঁটি বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ঝড়ো-হাওয়ায় উপকূলীয় এলাকা সোনাগাজীসহ জেলার প্রায় সবকটি উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোনাগাজীতে। এই উপজেলার চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, আমিরাবাদ ও সদর ইউনিয়নে অন্তত ৫০-৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ একর ফসলি জমি। তবে ঝড়ের কবলে পড়ে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ, গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র উপজেলার ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে তাদের মাঝে শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এদিকে দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর, পূর্বচন্দ্রপুর ও রামনগর ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই উপজেলায় ১০টি ঘরবাড়ি, পাঁচটি বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক একর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ৩০টি ঘরবাড়ি, ১৫ একর ফসলি জমি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরি) আবদুল জলিল মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝড়ো-হাওয়ায় ছয়টি উপজেলায় ১৭টি বিদ্যুতের খুঁটি ও ৫০-৬০ স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুৎকর্মীরা এসব মেরামতে কাজ করছে।

সোনাগাজী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল পারভেজ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সোনাগাজীতে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। পরে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

ফেনী জেলা প্রশাসনের খোলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত এনডিসি রাশেদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৭টি ঘরবাড়ি ও ২০ একর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পেয়েছি আমরা। তবে পুরো ক্ষয়ক্ষতির তালিকার কাজ চলছে।

Advertisement

রাশেদুল হাসান/এএম/এমএস