সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের তিন সদস্যের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
শনিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। প্রতারণার ঘটনায় যাত্রীবাড়ী থানায় করা মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ভুয়া চাকরিদাতা প্রতারক চক্রের ওই তিন সদস্যকে আটক করে। আটকরা হলেন- সবুজ তালুকদার (৪৮), মিজানুর রহমান (৫০) ও সাহাবুব রহমান বাবলু (৬০)। সিরাজুল ইসলাম নামে আরও একজন পলাতক।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, এক মাস ধরে কয়েকজন প্রতারিত ভুক্তভোগী একটি চক্রের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করে আসছিল। র্যাব-১০ এসব অভিযোগের ব্যাপারে অনুসন্ধান, গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারি করে আসছিল।
Advertisement
একাধিক অভিযোগের মধ্যেই আক্তার হোসেন র্যাব-১০ এ অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার ভাতিজা মিজানুর রহমানকে (২৭) সশস্ত্র বাহিনীর বেসামরিক পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারকদের যোগসাজশে নগদ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা গ্রহণ করে পলাতক সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল কোনো ধরনের চাকরি প্রদান না করে টালবাহানা করতে থাকে ও গৃহীত টাকা ফেরত না দিয়ে হুমকি দিতে থাকে।
অভিযোগের আলোকে র্যাব-১০ এর একটি দল প্রতারকচক্রের ওই তিন সদস্যকে আটক করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক সিরাজ কৌশলে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে বেকার, চাকরিপ্রত্যাশী ছেলে-মেয়েদের অর্থের বিনিময় চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছে। চাকরি প্রদানের নামে প্রতারণাপূর্বক বিভিন্ন যুবক ও তাদের পরিবার থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।
Advertisement
জেএ/জেইউ/জেএইচ/এমকেএইচ