মাত্র পাঁচটি এয়ারক্রাফট নিয়ে যাত্রা শুরু করে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। যাত্রীদের উন্নতমানের সেবা প্রদানের মাধ্যমে আস্থা অর্জন করে এয়ারক্রাফটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৮টি। বর্তমানে বিশ্বের ১২৪টি দেশের ৩০৬টি গন্তব্যে সুনামের সঙ্গে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করছে সংস্থাটি।
Advertisement
মোট ৩৩৮টি এয়ারক্রাফটের ৪৯টি অভ্যন্তরীণ ও ২৫৭টি আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াত করছে। ২০টি কার্গো এয়ারক্রাফট ৮২টি গন্তব্যে যাতায়াত করে। যাত্রীদের মন জয় করে এ পথ পাড়ি দিতে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের প্রায় নয় দশক সময় লেগেছে। ১৯৩৩ সালে যাত্রা শুরু করে বিশ্বজুড়ে পরিভ্রমণের বিস্তার ঘটিয়েছে তারা।
সম্প্রতি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের নয় সদেস্যর একটি মিডিয়া টিম তুরস্ক সফরে যায়। তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইস্তাম্বুলে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (এশিয়া অ্যান্ড ফারইস্ট) থানচি ইমোনুগলু জানান, ‘ওয়াইডেন ইউর ওয়ার্ল্ড’ এ নীতিবাক্য ও যাত্রীসন্তুুষ্টির কথা মাথায় রেখে তারা দিনকে দিন ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়াচ্ছেন। আগামী চার বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৩ সালের মধ্যে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের সংখ্যা ৫০০টিতে (যাত্রী ও কার্গো) উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছেন।
তার কথার সঙ্গে তাল মেলালেন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (বাংলাদেশ) এমরাহ কারকা। তিনি জানালেন, টার্কিশ এয়ারলাইন্স তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা, এটি ১৫টি কোম্পানির সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। গত ১০ বছরে যাত্রী সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এয়ারলাইন্সটি ছয় কোটি ৮৬ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে।
Advertisement
তিনি জানান, তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত সহজ হওয়ায় এ রুটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ কারণে তুরস্ক সরকার ইস্তাম্বুলে বিশ্বমানের বিমানবন্দর তৈরি করেছে। এ বিমানবন্দর বছরে দুই কোটি যাত্রী ব্যবস্থাপনায় সক্ষম। আপাতত বিমানবন্দরটির কাজ সম্পূর্ণ কাজ শেষ না হওয়ায় দেড় কোটি যাত্রী ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম।
এমরাহ কারকা জানান, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ৭০ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে। পরিবহনকৃত মোট যাত্রীর শতকরা ৯২ ভাগ যাত্রী ইস্তাম্বুলকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি আরও জানান, টার্কিশ এয়ারলাইন্স বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট ১০টি সংস্থার মধ্যে অন্যতম। উন্নত যাত্রীসেবাসহ বিভিন্ন কারণে ২০১৫ সালে স্কাইট্রাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ‘বেস্ট এয়ারলাইন্স এই সাউদার্ন ইউরোপ’ ওয়ার্ল্ড বেস্ট বিজনেস ক্লাস এয়ারলাইন লাউঞ্জ, ওয়ার্ল্ড বেস্ট বিজনেস ক্লাস লাউঞ্জ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। ২০১৬ সালে ইউরোপের সেরা এয়ারলাইন্সেরও পুরস্কার পায় টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
এমইউ/বিএ/এমএস
Advertisement