জাতীয়

সোনাগাজীর ওসি-এসআইয়ের মোবাইল জব্দ, চলতি মাসেই চার্জশিট

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার তদন্তকাজ মোটামুটি শেষ। চলতি মাসেই দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়া হবে।

Advertisement

শনিবার দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে আয়োজিত একটি বিতর্ক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তদন্ত সংস্থা পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, কিছু কাগজপত্র তৈরি করে চলতি মাসের যেকোনো দিন ১৬ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে। চার্জশিটে যাদের নাম আসবে আদালতের কাছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের সুপারিশ করবে পিবিআই।

তিনি আরও বলেন, নুসরাত হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা আইসিটি অ্যাক্টের মামলাটি তদন্তের কাজ শেষ হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আদালতে তারা সময়ের আবেদন করেছেন। তবে ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ওসি ও এসআইয়ের মোবাইল দুটি জব্দ করেছে তদন্ত দল।

Advertisement

উল্লেখ্য, সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে ওই মাদরাসাকেন্দ্রে যান তিনি। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে রাফি ওই ভবনের চারতলায় যান।

সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

১০ এপ্রিল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যার রাফি। এ ঘটনায় তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনার পর সোনাগাজী থানায় অভিযোগ নিয়ে যাওয়া নুসরাতের সঙ্গে ওসি মোয়াজ্জেমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ‘নুসরাতের পরিবারকে অসহযোগিতার অভিযোগে’ প্রত্যাহার করা হয় ওসিকে।

Advertisement

আলোচিত এ মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামিসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও প্রধান তদন্ত সংস্থা পিবিআই। এদের মধ্যে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী পাঁচজন শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, উম্মে সুলতানা পপি ও কামরুন নাহার মনিসহ আটজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন হুকুমদাতা মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, আশ্রয়দাতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, অর্থ যোগানদাতা পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, মাদরাসার শিক্ষক আবছার উদ্দিন।

এআর/বিএ/এমকেএইচ