ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬শ কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Advertisement
এদিকে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরসহ কিছু কিছু এলাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজগৃহে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। সেখানে আবহাওয়া এখন অনেকটা শান্ত রয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রাতে সুপেয় পানি ও শুকনা খাবারের অভাব দেখা দেয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
তবে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, দূর্যোগ কবলিত মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে ২৭শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃহ নির্মাণে ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ১৬০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও দূর্যোগ কবলিত মানুষ অবস্থান করছেন।
অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া ও প্রতাপনগর এবং দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া নামক স্থানে ইছামতী নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে।
Advertisement
এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুরের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বেড়িবাঁধ ভাঙনের আতংকে রয়েছে উপকূলীয় এলাকাবাসী।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম