জাতীয়

ফণী সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার বেগে বরিশালে আঘাত হেনেছে

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশ অতিক্রমের সময় সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার বেগে বরিশালে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

Advertisement

সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল ৩ মে (শুক্রবার) সন্ধ্যা থেকে ফণীর অগ্রভাগ বাংলাদেশ স্পর্শ করার পর উপকূলসহ সারাদেশের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আজ শনিবার সকাল ৬টায় স্থলভাগের উপর দিয়ে ভারতের অংশ থেকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও যশোর অঞ্চলে অবস্থান করছিল।

তিনি বলেন, এটি তখনও ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই অবস্থান করছিল। সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ের চারপাশের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, বরিশালে ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত করেছিল। এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কোথাও ৪৫, কোথাও ৩৭ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে।

পরিচালক বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। দুপুরের দিকে এটি স্থল নিম্নচাপ হিসেবে ঢাকাকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ- এসব অঞ্চলে অবস্থান করছিল।’

Advertisement

সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় আমরা পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছি। এর পরিবর্তে সবগুলো বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা একটা প্র্যাকটিস যে, যখন বিপদ সংকেত নামবে তখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়ে ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতার সাথে চলাচল করতে বলি।’ বিপদ কী কেটে গেছে- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘বিপদ কেটে গেছে বলা যায়।’

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হলো- যাদেরকে সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে গেছেন এখন তাদের বাড়ি ফিরে যেতে পরামর্শ দিতে পারি। বেলা ৪টা থেকে তারা আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফেরা শুরু করতে পারেন।’

আরএমএম/আরএস/এমকেএইচ

Advertisement