দেশজুড়ে

বাগেরহাটে রাতভর বর্ষণ শেষে সকালেই প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া শুরু

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শনিবার ভোর থেকেই প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। শুক্রবার গভীর রাত থেকে ভারী বর্ষণের সাথে দমকা হাওয়ার পর এই অবস্থা বিরাজ করছে। রাত থেকেই বিদ্যুত নেই। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত দেখা গেছে।

Advertisement

বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাতাসের তীব্রতা। এ পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে ফণী। ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুরে শক্তিশালী ঝড় হিসেবেই আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর হুগলির আরামবাগের দিকে অগ্রসর হয় সেটি। ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ এখন বাংলাদেশ অভিমুখে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের দিকে অগ্রসর হবে। শনিবার দুপুরের মধ্যেই এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। তবে বাংলাদেশে যখন আঘাত হানবে তখন শক্তি অনেকটাই কমে যাবে ফণীর।

Advertisement

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঝড়ের প্রভাবে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ার তিনজন, মিঠামইনের দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন।

সারাদেশে আরও কিছু হতাহতের তথ্য পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শওকত আলী বাবু/এসএইচএস/জেআইএম

Advertisement