প্রায় সপ্তাহখানেক হলো আলোচনায় এসেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী নামটি। বলা হচ্ছে, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ২০ বছরের এবং বাংলাদেশের ৪৩ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূণিঝড়। আধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে মানুষ আগেভাগেই নিতে শুরু করেছে প্রস্তুতি।
Advertisement
এমনই এক সময়ের মধ্যে একটি বিষয় সত্যিই অবাক করার মতো। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার রুশিকুল্যা সমুদ্রসৈকতে প্রতিবছর এই সময়ে দল বেঁধে আসে ওলিভ রিডলে কচ্ছপ। আর তা দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা। কিন্তু এ বছর দেখা নেই তাদের। প্রতিবছরের তুলনায় ১ শতাংশেরও কম কচ্ছপ বাসা বাঁধতে এসেছে সমুদ্র সৈকতে।
কচ্ছ্বপদের জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল প্রশাসন। প্রতিবছর সৈকতে ডিম পাড়তে সমুদ্র সৈকতে আসে তারা। কিন্তু এ বছর তারা আসেনি। অন্যান্য বছর প্রায় ৫ লাখ কচ্ছপ আসে সমুদ্রসৈকতে। তবে এ বছর এসেছে মাত্র তিন হাজার। তাহলে কি প্রকৃতির বিপদ সংকেত ওরা আগেভাগে পেয়ে গিয়েছিল? যন্ত্র ছাড়াই বুঝতে পেরেছিল ধেয়ে আসছে ফণী?
অন্যান্য বছর প্রায় ৫ লাখ কচ্ছপ আসে সমুদ্রসৈকতে। তবে এ বছর এসেছে মাত্র তিন হাজারবেঙ্গালুরুরের আইএফএস অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান টুইটারে লিখেছেন, রুশিকুল্যা সৈকতে প্রতিবছরের মতো ভিড় জমায়নি ওলিভ রিডলে কচ্ছপরা। সম্ভবত সব প্রাণিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের ওপর নির্ভর করতে হয় না। দুর্যোগের ইঙ্গিত আগাম পায় তারা।
Advertisement
তবে বন দফতর অবশ্য তার এ কথা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, এটা কাকতালীয় হতে পারে। গতবছর ৪.৭৫ লাখ ওলিভ রিডলে কচ্ছপ এসেছিল। কিন্তু এ বছর মাত্র ৩ হাজার। ২০০২, ২০০৭ ও ২০১৬ সালেও ভিড় কম হয়েছিল।
একসঙ্গে সৈকতে কোণ আকৃতির দেড়ফুট গর্তে ডিম পাড়ে স্ত্রী কচ্ছপরা। মেক্সিকো ও কোস্টারিকার পর ওড়িশার সমুদ্রসৈকতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কচ্ছপ বাসা বাঁধতে আসে। ১৯৯১ সালে এক সপ্তাহে প্রায় ৬ লাখ ওলিভ রিডলে কচ্ছপ ডিম পাড়ে সৈকতে।
ওলিভ রিডলে কচ্ছপকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণির তালিকাভূক্ত করেছে ইউনিয়ন ফর কনজারভে অব ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস (আইইউসিএন)। পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে ওলিভ ওলিভ রিডলের খোলস বিলুপ্তির পথে।
এসআর
Advertisement