ফাইনাল হলে কে জিততো? বাংলাদেশ নাকি লাওস? এর উত্তর দেয়া কঠিন। কারণ লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল। ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে লাওসের কোচ কাওয়ামতো নাওকো বলেছিলেন, দুই দলের সম্ভাবনাই সমান। তবে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিজেদের এগিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালে।
Advertisement
বঙ্গমাতার নামে ঘরের মাঠের প্রথম এই টুর্নামেন্টের ট্রফিটা জিততে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ-খেলোয়াড়রা। কিন্তু শেষটা ভালো হলো না-ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
লাওসের সামনেও ছিল ইতিহাসের হাতছানি। এ দেশটি যে কোনো পর্যায়ের নারী ফুটবলে প্রথম ফাইনালে উঠেছিল। তাদেরও ট্রফিটা এককভাবে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল।
বাফুফের ফাইনাল বাতিলের সিদ্ধান্তকে কিভাবে দেখছেন লাওস দলের কর্মকর্তারা? শুক্রবার দুই দলের ম্যানেজারকে পাশে বসিয়েই ফাইনাল বাতিল ও দুই যুগ্ম চ্যাম্পিয়শিপের ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ খেলার উপযুক্ত ছিল কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে লাওস দলের ম্যানেজার গালদানসুক বলেছেন, ‘মাঠের যে অবস্থা ছিল, তাতে খেলা যেতো। কিন্তু সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বাফুফের নেয়া সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানিয়েছি।’
আরআই/এমএমআর/পিআর