ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও দুপুরের পর থেকে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
Advertisement
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বেলা ১১টায় ও বিকেল ৪টায় প্রেস ব্রিফিং করেছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সব ধরণের ও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দল লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে একযোগে কাজ করছে।
জেলার উপকূলবর্তী শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে বর্তমানে ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহযোগিতা করছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
Advertisement
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, সাধারণ মানুষ ভিটেবাড়ি ছেড়ে যেতে চায় না। তবুও তাদের বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হচ্ছে। নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকেও ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জাগো নিউজকে বলেন, সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা থেকে বর্তমানে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি মধ্যরাত নাগাদ সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। শহরের দিকে খুব বেশি প্রভাব দেখা না গেলেও উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার।
আকরামুল ইসলাম/আরএআর/পিআর
Advertisement