আন্তর্জাতিক

ফণী আতঙ্কে চেইন দিয়ে বেঁধে রাখা হলো ট্রেন!

ওড়িশা উপকূলে শুক্রবার সকালে আছড়ে পড়ে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'ফণী'। স্থলভাগে ঢোকার পরই শুরু হয় তাণ্ডব। উপগ্রহ চিত্র বলছে, ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে 'ফণী'। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে।

Advertisement

ফণীর দাপটে এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতায়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার রাতের মধ্যে রাজ্যে ঢোকার কথা ঘৃর্ণিঝড় ফণীর। শনিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কলকাতায় প্রবল ঝড় হওয়ার কথা।

ফণী আতঙ্কে তটস্থ সবাই। আতঙ্কের সেই ছবি ধরা পড়ল শালিমার রেল ইয়ার্ডে। ফণীর দাপটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন গড়িয়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটতে পারে, সেই আতঙ্কে চেন দিয়ে বাঁধা হলো বগি।

শালিমার রেল ইয়ার্ডে গিয়ে চোখে পড়ে, লোহার চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বগিগুলো। চেন দিয়ে বেঁধে রীতিমতো তালা আটকে রাখা হয়েছে।

Advertisement

প্রবল ঝড়ের সময় যাতে কোনো বিপত্তি না ঘটে, সেজন্যই এ ব্যবস্থা নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ফণীর তাণ্ডবে বাতিল করা হয়েছে প্রায় সব ট্রেনের শিডিউল। পুরী, ভূবনেশ্বর, বিশাখাপাটনমগামী সব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

ঝড়ের দাপটে উড়ে গেছে ভুবনেশ্বর স্টেশনের চালা। যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ট্রেন চলাচলও।

ফেণীর তাণ্ডবের প্রথম ছোবল পড়ে ওড়িশায়। তুমুল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে প্রচণ্ড হাওয়া। একের পর এক গাছ উপড়ে পড়ে। উড়ে যায় ঘরের চালাও। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়া ফণীতে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার জানায়, ওড়িশার পুরী, কটক, ভুবনেশ্বর, বালাসোর, চাঁদিপুর, গোপালপুরের মতো এলাকা একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন সেখানে চলছে উদ্ধার তৎপরতা। ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওড়িশার চার জেলা। অধিকাংশ এলাকা রয়েছে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন।

Advertisement

এমএআর/এমএস