ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে শুক্রবার দুপুর থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তাল রয়েছে সাগর। বাতাসের গতি বাড়তে শুরু করছে। উপকূলের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
Advertisement
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে উপকূলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহম্মদ জানান, লালুয়া ইউনিয়নের চারিপারা ও মহিপুরের নিজামপুর এলাকায় কিছু পানি প্রবেশ করেছে। যেটা অন্যান্য জোয়ারেও হয়ে থাকে।
রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী আহসান জানান, চালিতাবুনিয়া, চিনাবুনিয়া, গরুভাংগা এলকায় পানি প্রবেশ করেছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছে। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হেমায়ত উদ্দিন জানান , বিভিন্ন দ্বীপ ও চর থেকে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি উপজেলার সব মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসব। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার এবং রেড ক্রিসেন্টসহ সবাই প্রস্তুত আছে।
Advertisement
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর/এমএস