স্বাস্থ্য

সিএমএইচে সফলভাবে দুই রোগীর কিডনি সংযোজন

ঢাকা সিএমএইচে দ্বিতীয়বারের মতো আরও দুই রোগীর শরীরে সফলভাবে দুটি কিডনি সংযোজন করা হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল হতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তিনদিন ধরে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

Advertisement

ভারতের স্বনামধন্য কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠান আইকেডিআরসি হতে ছয় সদস্য বিশিষ্ট অভিজ্ঞ ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিমের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন প্রখ্যাত ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক প্রাঞ্জল রমনলাল মোদী।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, আপামর জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দূরদর্শিতা ও সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা সিএমএইচে এ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

Advertisement

এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই হতে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ওই ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিমের কার্যক্রম শুরু হয়। যার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আবারও ল্যাপারোসকোপিক পদ্ধতিতে দুটি কিডনি সফলভাবে সংযোজিত হলো। ভারতীয় ওই টিমের সদস্যদের সঙ্গে যৌথভাবে ঢাকা সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ ইউরোলজি-নেফ্রোলজি টিমের সদস্যরা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী জানান, কিডনি সংযোজন কার্যক্রমের সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য অরগ্যান (যেমন- লিভার, ফুসফুস, অগ্নাশয়) ইত্যাদি সংযোজনের প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা সিএমএইচের কনফারেন্স হলে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিষয়ক সাইনটিফিক সেমিনারে সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফসিউর রহমানের উপস্থিতিতে ভারতীয় প্রখ্যাত ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক প্রাঞ্জল রমনলাল মোদী ‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন : চ্যালেঞ্জ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা’র ওপর একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।

বর্তমানে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এ চিকিৎসাসেবা পেলেও ভবিষ্যতে অসামরিক রোগীদের জন্যও এ সেবা উন্মুক্তের পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, অন্তিম পর্যায়ের কিডনি রোগ একটি জটিল দুরারোগ্য ও ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এ রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন (কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোগী যুক্ত হচ্ছে। এসব রোগীর ৮০ শতাংশেরও বেশি যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র চারটি সেন্টারে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ হয়।

জেপি/এমএআর/এমএস