শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর হাত থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় দেশের বিভিন্ন মসজিদে। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় মসজিত বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত মোনাজাতে ফণীর হাত রক্ষা পেতে দোয়া করা হয়।
Advertisement
মোনাজাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ঈমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হে আল্লাহ সপ্তম আসমান-জমিন বিপাদ থেকে হেফাজত করে দাও। হে আল্লাহ ঘূর্ণিঝড় থেকে, তুফান থেকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের দেশকে, মুসলমানদের হেফাজত করা।’
‘হে আল্লাহ আমাদের দিকে ভয়ানক ঝড় আসছে, সেই ঝড় থেকে মেহেরবানি করে তুমি হেফাজত করে দাও,’ মোনাজাতে বলেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমাম।
এ সময় জাতীয়র জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও দোয়া করা হয়। মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের যেসব সদস্য মারা গেছেন তাদের বেহেশত নসিব করার জন্য দোয়া করা হয়।
Advertisement
সকালেই ২০০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশায় আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। ওড়িশা উপকূল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই আজ মধ্যরাতে ফণী বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
ফণী আঘাত হানার আগে থেকেই ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ বছরে এ অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯ সালে এ মাত্রায় পৌঁছানো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।
ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল থেকেই এ সংকেত বহাল রয়েছে।
এমএএস/এনডিএস/এমএস
Advertisement