প্রচণ্ড বাতাস, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। একটার পর একটা গাছ উপড়ে পড়ছে। ফণীর তাণ্ডবে রীতিমতো লন্ডভন্ড ওড়িশা। প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতের ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। তারপর থেকেই ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলে তাণ্ডব দেখাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়টি।
Advertisement
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে স্কাইমেট ওয়েদারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুরী, কটক, ভুবনেশ্বর, বালাসোর, চাঁদিপুর, গোপালপুরের মতো এলাকাগুলোতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে আবহাওয়াবিদরা। ওড়িশার বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট রয়েছে জনশূন্য।
The fiery #CycloneFani blows through Puripic.twitter.com/tf5VlwHoCu
— PIB India (@PIB_India) May 3, 2019ফণীর যাত্রাপথ থেকে ১১ লাখ মানুষকে আগেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুরীতে ফণী আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমণিসহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে শুরু হয় তুমুল ঝড়বৃষ্টি। শঙ্করপুরে ভেঙে পড়ে হাইটেনশন বিদ্যুতের খুঁটি।
Advertisement
কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ থাকছে। ভুবনেশ্বরেও বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৪ হাজার ৮৫২ সাইক্লোন এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। ফণী নিয়ে খবরাখবর বা যে কোনো সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩৮-এ ফোন করা যাবে। শনিবার পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মোট ১৪৭টি ট্রেন।
Puri circuit house near the sea beach as Cyclone Fani hits Odisha pic.twitter.com/ZLfI6uz9JX
— Priyarag Verma (@priyarag) May 3, 2019৩৪টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ত্রাণ সামগ্রীসহ চারটি উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশাখাপত্তনম এবং চেন্নাইয়ে। বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ এবং কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন থাকছে।
Advertisement
জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসাব অনুযায়ী গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯-এ এই মাত্রায় পৌঁছানো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল। দিঘা থেকে পর্যটকদের ফেরাতে এসবিএসটিসি অতিরিক্ত ৫০টি বাসের ব্যবস্থা করেছে।
টিটিএন/পিআর