পূর্বাভাসের আগেই ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ফণী। এর আগে ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, বিকাল ৩টার দিকে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী। কিন্তু তার আগেই সকাল সাড়ে নয়টার আগে ২০০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার গোপালপুর এবং পুরীতে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
Advertisement
ফণীর আঘাতে পুরীর কাছে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর জানা যায়নি। গত তিনদিন উপগ্রহ চিত্রে গতিবিধির ওপর নজর রাখার পর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বেলা ১২টা পর্যন্ত ওড়িশায় তাণ্ডব চালাবে ফণী। তারপর পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে শক্তিশালী ঝড়টি।
ফণীর আঘাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওড়িশার পুরী, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। যে পথে ফণী এগিয়ে যাচ্ছে সে পথে ওড়িশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টি শহর পড়বে।
ফণীর যাত্রাপথ থেকে ১০ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৪ হাজার ৮৫২ সাইক্লোন এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আপাতত, ওই ১০ লাখ মানুষের ঠাঁই হচ্ছে এই আশ্রয়কেন্দ্রই।
Advertisement
#CycloneFani makes landfall near Puri, Odisha Prayers for all in the path of Cyclone Fani. Stay safe. pic.twitter.com/a1s3lZodbr
— Rohit Choudhary (@irohitchoudhary) May 3, 2019কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব কন্ট্রোল রুম খুলেছেন। ফণী নিয়ে খবরাখবর বা যে কোনও সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩৮-এ ফোন করতে বলা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মোট ১৪৭টি ট্রেন।
৩৪টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ত্রাণ সামগ্রীসহ চারটি উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশাখাপত্তনম এবং চেন্নাইয়ে। বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ এবং কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন থাকছে।
জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসাব অনুযায়ী, গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯ সালে এই মাত্রায় পৌঁছানো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ