বিষ প্রয়োগে হাঁস মেরে ফেলার প্রতিবাদ করায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ওই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রভাব খাটিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
Advertisement
গত সোমবার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার শিকার সাধনা বাড়ৈ গজালিয়া গ্রামের দিনমজুর বকুল বাড়ৈর স্ত্রী। আহত নারীর শ্বশুর বিজেন্দ্র বাড়ৈ অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী সুখদেব হালদার সোমবার পানের বরজে বিষ প্রয়োগ করে তার ছেলে বকুল বাড়ৈর ৪টি হাঁস মেরে ফেলে। ছেলে বকুল বাড়ৈ এর প্রতিবাদ করলে সুখদেব হালদার ও তার স্ত্রী যুথিকা হালদার হামলা চালায়। স্বামীকে মারধরের খবর পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাধনা বাড়ৈ এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে সাধনা বাড়ৈ মাটিতে পড়ে গেলে সুখদেব হালদার তার পেটে লাথি মারে।
পরে স্থানীয়রা সাধনা বাড়ৈকে উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ খবর পেয়ে হামলাকারী সুখদেব হালদারের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মাহাবুব হোসেন ও দলিল লেখক মিলন মন্ডল হাসপাতালে গিয়ে সালিশি মিমাংসার কথা বলে জোরপূর্বক গৃহবধূর নাম কেটে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় কোনো মিমাংসা হয়নি।
অপরদিকে আহত গৃহবধূর অবস্থা ক্রমেই অবনতি দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের তাকে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেটের সন্তান জীবিত আছে কিনা সেটও আমরা জানি না। হামলাকারীদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না বলে জানান বিজেন্দ্র বাড়ৈ।
Advertisement
তবে অভিযুক্ত সুখদেব হালদার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, যা ঘটেছে তা নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিৎ হবে না।
তবে সালিশদার মিলন ও মাহাবুব গৃহবধূকে মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব মিমাংসার চেষ্টা করেছি মাত্র। কিন্তু জোর পূর্বক হাসপাতাল থেকে তাকে (গৃহবধূ) পাঠিয়ে দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উজিরপুর থানা পুলিশের ওসি শিশির কুমার পাল জানান, এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তিনি এ ঘটনা জানতেন না। পুলিশ পাঠিয়ে খবর নেয়া হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত সবধরনের সহায়তা দেয়া হবে ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারকে।
সাইফ আমীন/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement