দেশজুড়ে

সাগরে ফণীর প্রভাব থাকলেও কূলে দাবদাহ

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশেও আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ছে। তবে কক্সবাজারের উপকূলে ফণীর প্রভাব তেমন নেই বললেই চলে। শুক্রবার সকাল থেকেই বিগত দিনের মতো পরিষ্কার আকাশে বৈশাখের দাবদাহ চলছে।

Advertisement

এরপরও ফণির আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার। মজুদ রাখা হয়েছে ৪শ মে.টন জিআর চাল, সাড়ে ৪ হাজার প্যাকেটজাত শুকন খাবার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৯টি মেডিকেল টিম ও বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আফসার জানিয়েছেন, উপকূলীয় লোকজনসহ কক্সবাজারে অবস্থানকাী পর্যটকদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সৈকত তীরসহ শহরের জনবহুল স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে সতর্ক সঙ্কেত বোঝানো হয়েছে। উপকূলে মাইকিং চলমান রয়েছে।

অপরদিকে উপকূলে আতঙ্ক ছড়ালেও ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কক্সবাজারে অবস্থান করা পর্যটকদের ওপর পড়ছে না। মে দিবস ধরে যেসব পর্যটক কক্সবাজার এসেছিলেন তারা কেউ হোটেল ছেড়ে যাননি। বাতিল হয়নি আজকের (শুক্রবার) কোনো বুকিং। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হোয়াইট অর্কিড হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) রিয়াদ ইফতেখার।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমকেএইচ