বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সাতটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ফণীর গতিবিধি নজরে রাখতে ও তাণ্ডব পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালাতে এসব যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।
Advertisement
ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, মোতায়েনকৃত সাতটি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে ৪টি তামিলনাড়ু উপকূলে রাখা হয়েছে। বাকি তিন যুদ্ধজাহাজ ঝড়ের গতিবেগ নজরে রাখবে।
যুদ্ধজাহাজ আইএনএস দেগায় রয়েছে ৭টি হেলিকপ্টার। যেকোনো পরিস্থিতিতে উড়ে যাবে এই হেলিকপ্টার। এছাড়া আইএনএস দেগায় ডুবুরি, রাবারের নৌকা, মেডিক্যাল টিম রয়েছে। যুদ্ধজাহাজে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ সামগ্রীও।
আরও পড়ুন : ৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’
Advertisement
ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার পুরী উপকূলের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমের ৩২০ কিলোমিটার ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিমবঙ্গের দীঘার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের কাছাকাছি অবস্থানে চলে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতোমধ্যে রাজ্যের বিশাখাপত্তনমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে ওড়িশা প্রদেশেও। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফণীর সম্ভাব্য তাণ্ডব মোকাবেলায় দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ), সেনাবাহিনী, ভারতীয় বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রস্তত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : তিনগুণ গতি বাড়িয়ে অগ্রসর হচ্ছে ফণী
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দফতর বলছে, গত ছয় ঘণ্টায় ফণী প্রতি ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। বুধবার রাতে কলকাতা থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এবং পুরীর ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম, দীঘার ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান করছিল। তখন এর গতি ছিল ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার অর্থাৎ বুধবারের তুলনায় তিনগুণ বেশি গতিবেগ বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, শুক্রবার ওড়িশায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে ফণী। পরে সেখান থেকে গতিপথ বদলে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসআইএস/পিআর