সাহিত্য

বিক্ষুব্ধ ঊর্মিমালা

চারিদিকে সুনসান নীরবতা!সূর্যমামা দাত কেলিয়ে হাঁসছে,সাগরকন্যা কুয়াকাটারবেলাভূমির তপ্ত বালি চিকচিক করছে।যেমনি চিকমিক করছে আমার মনেস্মৃতিকণাগুলো তোমার!

Advertisement

বার বার বিক্ষুব্ধ ঊর্মিমালাযেমন করে বেলাভূমির বুকেআছড়ে পড়ে বেলাভূমিকে বিধ্বস্ত করে;তেমনি করছে সে বারে বারে!তাঁর স্মৃতিমালাগুলোও আমারহৃদয়ের তন্ত্রীগুলো ছিঁড়েআমাকে কুড়ে কুড়ে মারে!

সানগ্লাসটা দু’চোখকে ভালোবেসেআগলে রেখেছে আমাকেএই দুঃসহ তাপদাহ থেকে।যেমনি তুমি আগলে রাখোআমার দুঃখ সাগরের বাঁকে।

একটি গাছের আংশিক ছায়ায়আমি ঠায় দাঁড়িয়ে;দৃষ্টি দিগন্তরেখায়আকাশ-সাগরের মিলন প্রান্তে।

Advertisement

এক সময় একটা গোটা আকাশ ছিলআমার হৃদয়সীমান্তে!আজ সে দূরে বহুদূরে!জানি না কেমন আছে;কোথায় আছে?

হয়তো সে তাঁর কক্ষপথে ঘুরছে।আর সারাক্ষণ আমার কথাই ভাবছে।মুখ ফুলিয়ে রাগ করে বসে আছে।আমিও প্রতিকূলে অনুকূলে সারাক্ষণতাঁর কথা ভাবছি।

আমি সারাক্ষণ তাঁর অনুভবে থাকিসেটা সে খোলামেলা প্রকাশ করে।সে-ও তো সারাক্ষণ আমার অনুভবেথাকে, সেটা অনুচ্চারিত ও অপ্রকাশিত।এ কথা তাকেবোঝাই কেমন করে!

এই নির্মল সহজ-সরল পাগলআমাকে ধন্য করেছেঅন্তর তাঁর অতি সুনির্মল।সে আমায় রিক্ত করেছেসিক্ত করেছে, অনেক করেছে ঋণী।

Advertisement

আমি তা কায়মনে মানি,দিবস যামিনী।সে যে বড্ড অভিমানীআমার সকল সুখ-দুঃখেরকান্না-হাসির রাগিনী!

এসইউ/পিআর