আইন-আদালত

রানা প্লাজা নির্মাণে দুর্নীতি : দুইজনের সাক্ষ্য

সাভারের রানা প্লাজা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন এ দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ছামসুদ্দিন। এ নিয়ে মামলাটিতে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তন্ময় হাউজিং লিমিটেড নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন।

চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানটি ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানকে বিদায় করে দেন। পরে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাকের কারখানা স্থাপন কর হয়। এরপর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে ১০ তলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয়তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়।

Advertisement

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় পর দুদকের উপ-পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় মামলা করেন। তদন্তে শেষে দুদকের ওই কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৭ সালের ২১ মে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

রানা ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- সোহেল রানার বাবা আব্দুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান রাসেল, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মোতালিব।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন আরও প্রায় দুই হাজার শ্রমিক।

Advertisement

জেএ/এনডিএস/এমকেএইচ