জাতীয়

১৯ জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, প্রস্তুত ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের ওড়িশা উপকূল হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

Advertisement

উপকূলীয় ১৯ জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম), ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) উৎপল কুমার দাস জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত, তারা কাজও শুরু করেছেন। এ ছাড়া সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) হেড কোয়ার্টার উপকূলীয় জেলাগুলোতে কাজ শুরু করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তুতি নিয়ে আজ বিকেলেও মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আছে।’

Advertisement

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা গেছে, রেডক্রিসেন্টের কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

উপকূলীয় জেলার প্রশাসকদের কাছে ২০০ টন চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে ৫ লাখ করে টাকাও দেয়া আছে। একইসঙ্গে ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্যালাইনের জন্য সুপেয় পানির জন্য পানির ট্রাক পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব শাখা ১ মে থেকে প্রতিদিন খোলা থাকবে।

একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয় ও জরুরি সাড়াদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১ মে থেকে সব ছুটি বাতিলও করা হয়েছে।

Advertisement

ইতোমধ্যে পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আরএমএম/এনএফ/জেআইএম